শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকবৃন্দ। শনিবার সকাল ১১টায় বীরগাঁও গ্রামের মাছুম আহমেদ’র বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, ‘বীরগাঁও গ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার সকল দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কতৃক একটি তদন্ত প্রতিবেদনেও দুর্নীতির সত্যতা উঠে এসেছে। সুতরাং দুর্নীতিবাজ একজন মানুষ অন্তত আর যা-ই হোক শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় থাকতে পারেননা। প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, দয়া করে দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করুন। না হলে, অপসারণের এই দাবি আইনি সকল প্রক্রিয়া মেনে মাঠ পর্যন্তও গড়াতে পারে।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কবি আজমল আহমদ। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সমাজকর্মী সলিব নূর বাচ্চু, মাছুম আহমদ জোসেফ ও শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান। এসময় উপস্থিত ছিলেন-সমাজকর্মী সুয়েব আহমদ, সিপাউর রহমান, কাউছার আহমেদ ভুট্টো ও রায়েজ নূর প্রমুখ।লিখিত বক্তব্যে কবি আজমল বলেন, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব বীরগাঁওবাসী আজিজ মিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা। ৩০ ডিসেম্বর কমিটির প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে আনিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। সংযুক্তিকৃত ৮৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এর সকল প্রমাণাদি রয়েছে। সকল দুর্নীতির প্রমাণ সাপেক্ষ আজিজ মিয়া প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সকল যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে আমরা মনে করি। আমাদের জোর দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই শিক্ষককে দ্রুত তার পদ থেকে অপসারণ করা হোক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি দুর্নীতিবাজ শিক্ষক আজিজ মিয়া আর পদে থাকার জন্য আর কোনো টালবাহানা করেন বা এলাকার পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল করার চেষ্টা করেন তাহলে আইনী প্রক্রিয়ায় তাকে মোকাবিলা করা হবে। প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে এলাকার সচেতন মহল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজমল আহমদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে একই কথা বলেন সমাজকর্মী সলিব নূর বাচ্চু, মাছুম আহমদ জোসেফ ও শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান।বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়া বলেন, যেসব বিষয়ে তারা অভিযোগ করেছেন তা এখনো তদন্তাধীন। চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদন এখনো আসেনি। যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো। তাছাড়া, এসব বিষয়ে আমার যতটুকু অধিকার আছে ততটুকু আইনী পদক্ষেপেও যাবো।