ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রির ঐতিহ্য, অবদান ও সাফল্য উদযাপন করতে লন্ডনের ঐতিহাসিক হাউস অফ লর্ডস-এ অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত ৬ষ্ঠ ন্যাশনাল কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫।


অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোমিন খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের লর্ড মেয়র কাউন্সিলর পল ডিমোলডেনবার্গ (Cllr. Paul Dimoldenberg)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“কারি ইন্ডাস্ট্রি এখন শুধু একটি ব্যবসা নয়, এটি ব্রিটেনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বলা যায়, কারি এখন ইংল্যান্ডের জাতীয় খাবার।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এন্ডি ম্যাকন্যাক এমপি (Andy MacNac MP), আনা গেলডার্ড এমপি (Anna Gelderd MP), ওয়ারিন্ডার জ্যাস এমপি (Warinder Jass MP) এবং কাউন্সিলর ম্যাগি কারম্যান (Cllr. Maggie Carman)।


তাঁরা সকলেই ব্রিটিশ অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটির অবদানের উচ্চ প্রশংসা করেন।
এন্ডি ম্যাকন্যাক এমপি বলেন,
“কারি ব্যবসা আজ ব্রিটেনে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এটি শুধু একটি খাবার নয়, বরং আমাদের সমাজের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।”
আনা গেলডার্ড এমপি বলেন,
“বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানি রেস্টুরেন্ট মালিকরা তাঁদের পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে ব্রিটেনের বহুসাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁদের অবদান অনন্য।”
ওয়ারিন্ডার জ্যাস এমপি বলেন,
“কারি ইন্ডাস্ট্রি শুধু ব্যবসা নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন। এখানে বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি ও স্বাদের মিলন ঘটে—যা ব্রিটিশ সমাজের ঐক্যের প্রতীক।”
কাউন্সিলর ম্যাগি কারম্যান বলেন,
“কারি হাউসগুলো আজ শুধু খাবারের জায়গা নয়, বরং কমিউনিটির মানুষের মিলনস্থল। এই শিল্প আমাদের সমাজে বন্ধুত্ব, ঐক্য ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”
এবারের অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা ২২টি সেরা রেস্টুরেন্টকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়—
Restaurant of the Year – বছরের সেরা রেস্টুরেন্ট, Curry House of the Year – বছরের সেরা কারি হাউস, Newcomer of the Year – বছরের সেরা নবাগত। Takeaway of the Year – বছরের সেরা টেকঅ্যাওয়ে, Entrepreneur of the Year – বছরের সেরা উদ্যোক্তা ।



ন্যাশনাল কারি অ্যাওয়ার্ডের সংগঠক আহাদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“এই অ্যাওয়ার্ডের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রির অবদানকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং যারা দিন-রাত পরিশ্রম করে এই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তাদের সম্মান জানানো।”
তিনি আরও বলেন,
“কারি এখন ব্রিটিশ জীবনের অংশ। আমরা চাই, আগামী প্রজন্ম এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাক এবং ব্রিটিশ কারির সুনাম আরও উজ্জ্বল করুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বলেন, এ ধরনের আয়োজন দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটির গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক। এটি শুধু রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাফল্য নয়, বরং এক বিশাল সাংস্কৃতিক উদযাপন।
